গত অনুচ্ছেদে, আমরা রেজিস্ট্যান্স R, ইন্ডাক্ট্যান্স L এবং ক্যাপাসিট্যান্স C এর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি, এখানে আমরা তাদের সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য আলোচনা করব।
কেন ইন্ডাক্টর এবং ক্যাপাসিটরগুলি এসি সার্কিটে ইন্ডাক্টিভ এবং ক্যাপাসিটিভ রিঅ্যাক্ট্যান্স তৈরি করে, তার মূল কথা হলো ভোল্টেজ এবং কারেন্টের পরিবর্তন, যার ফলে শক্তির পরিবর্তন ঘটে।
একজন ইন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে, যখন কারেন্ট পরিবর্তন হয়, তখন তার চৌম্বক ক্ষেত্রও পরিবর্তিত হয় (শক্তি পরিবর্তন হয়)। আমরা সকলেই জানি যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনে, ইনডিউসড ম্যাগনেটিক ফিল্ড সর্বদা মূল ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করে, তাই ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধির সাথে সাথে এই বাধার প্রভাব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যা হল ইন্ডাক্ট্যান্স বৃদ্ধি।
যখন একটি ক্যাপাসিটরের ভোল্টেজ পরিবর্তিত হয়, তখন ইলেক্ট্রোড প্লেটের চার্জের পরিমাণও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। স্পষ্টতই, ভোল্টেজ যত দ্রুত পরিবর্তিত হয়, ইলেক্ট্রোড প্লেটের চার্জের পরিমাণের গতি তত দ্রুত এবং বৃহত্তর হয়। চার্জের পরিমাণের গতিই আসলে কারেন্ট। সহজ কথায়, ভোল্টেজ যত দ্রুত পরিবর্তিত হয়, ক্যাপাসিটরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট তত বেশি হয়। এর অর্থ হল ক্যাপাসিটরের নিজেই কারেন্টের উপর একটি ছোট ব্লকিং প্রভাব রয়েছে, যার অর্থ হল ক্যাপাসিটিভ রিঅ্যাক্ট্যান্স হ্রাস পাচ্ছে।
সংক্ষেপে, একটি ইন্ডাক্টরের ইন্ডাক্ট্যান্স সরাসরি ফ্রিকোয়েন্সির সমানুপাতিক, যেখানে একটি ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স ফ্রিকোয়েন্সির বিপরীতভাবে সমানুপাতিক।
ইন্ডাক্টর এবং ক্যাপাসিটরের শক্তি এবং প্রতিরোধের মধ্যে পার্থক্য কী?
ডিসি এবং এসি উভয় সার্কিটেই রেজিস্টর শক্তি ব্যবহার করে এবং ভোল্টেজ এবং কারেন্টের পরিবর্তন সর্বদা সমলয়িত হয়। উদাহরণস্বরূপ, নিম্নলিখিত চিত্রটি এসি সার্কিটে রেজিস্টরের ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং পাওয়ার কার্ভ দেখায়। গ্রাফ থেকে দেখা যাচ্ছে যে রেজিস্টরের শক্তি সর্বদা শূন্যের চেয়ে বেশি বা সমান ছিল এবং শূন্যের কম হবে না, যার অর্থ হল রেজিস্টরটি বৈদ্যুতিক শক্তি শোষণ করে আসছে।
এসি সার্কিটে, প্রতিরোধক দ্বারা ব্যবহৃত শক্তিকে গড় শক্তি বা সক্রিয় শক্তি বলা হয়, যা বড় অক্ষর P দ্বারা নির্দেশিত হয়। তথাকথিত সক্রিয় শক্তি কেবল উপাদানটির শক্তি খরচের বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করে। যদি কোনও নির্দিষ্ট উপাদানের শক্তি খরচ থাকে, তবে শক্তি খরচ সক্রিয় শক্তি P দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয় যা তার শক্তি খরচের মাত্রা (বা গতি) নির্দেশ করে।
আর ক্যাপাসিটর এবং ইন্ডাক্টর শক্তি গ্রহণ করে না, তারা কেবল শক্তি সঞ্চয় করে এবং ছেড়ে দেয়। এদের মধ্যে, ইন্ডাক্টরগুলি উত্তেজনাপূর্ণ চৌম্বক ক্ষেত্রের আকারে বৈদ্যুতিক শক্তি শোষণ করে, যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে শোষণ করে এবং চৌম্বক ক্ষেত্র শক্তিতে রূপান্তর করে এবং তারপর চৌম্বক ক্ষেত্র শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে ছেড়ে দেয়, ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি করে; একইভাবে, ক্যাপাসিটরগুলি বৈদ্যুতিক শক্তি শোষণ করে এবং এটিকে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র শক্তিতে রূপান্তর করে, একই সাথে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র শক্তি ছেড়ে দেয় এবং এটিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
ইন্ডাক্ট্যান্স এবং ক্যাপাসিট্যান্স, বৈদ্যুতিক শক্তি শোষণ এবং মুক্তির প্রক্রিয়া, শক্তি গ্রহণ করে না এবং স্পষ্টতই সক্রিয় শক্তি দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা যায় না। এর উপর ভিত্তি করে, পদার্থবিদরা একটি নতুন নাম সংজ্ঞায়িত করেছেন, যা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, যা Q এবং Q অক্ষর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়।
পোস্টের সময়: নভেম্বর-২১-২০২৩